২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা! দর্শনায় দাড়ানো ট্রাকে আগুন ধরিয়েছে দুর্বৃত্তরা বিরামপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের বড় বোনের ইন্তেকাল চুয়াডাঙ্গায় স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে পড়ে স্ত্রীর মৃত্যু
মোরেলগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় চরম দুর্ভোগে হাজার হাজার ইউনিয়নবাসী

মোরেলগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় চরম দুর্ভোগে হাজার হাজার ইউনিয়নবাসী

এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি: তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের সেবা নিশ্চিত করে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখে স্থানীয় সরকার তথা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব হলো স্থানীয় সেবা প্রদান যেমন, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা বিতরণ। এ ছাড়া, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদানেও তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৫ নং মোরেলগঞ্জসদর ইউনিয়নে গত ২০২৪ এর জুলাই অদ্ভুত্থান এর পর থেকে এখন পর্যন্ত চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকার কারণে সেবা প্রত্যাশী ইউনিয়নবাসী চরম বিপাকে পড়েছেন।অনুপস্থিতি ও তাকে অপসারণের পর এই কার্যক্রমগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে।
ফলে তৃণমূলের জনগণ বিভিন্ন সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার হচ্ছে।

ইউনিয়ন পরিষদের সকল প্রশাসনিক কাজকর্মসহ ইউনিয়নবাসীর দৈনন্দিন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী সেবা প্রত্যাশী বলেন এখানে টাকার বিনিময়ে সকল সেবা মিলে তার জন্য অর্থ ও যথেষ্ট সময় অতিবাহিত করতে হয়। তারপরও কোন কাজের সমাধান হয় না। জন্ম নিবন্ধন সনদ, মৃত্যুর নিবন্ধন সনদ, ওয়ারিস কাম সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, বিভিন্ন ধরনের প্রত্যয়ন পত্র সহ গ্রাম আদালতের সালিশ ব্যবস্থা ও আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্মের জন্য সেবা প্রত্যাশী জনগণ ইউনিয়ন পরিষদের দ্বারস্থ হয় প্রতিনিয়ত।

চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ও অন্যান্য কাজের জন্য ইউনিয়নবাসী প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজের বিঘ্ন ঘটছে। একজন ভুক্তভোগী বলেন টাকার বিনিময় মিলে চেয়ারম্যানের সাক্ষ্যর। তার জন্য ৫ থেকে ৭ দিন অপেক্ষা করতে হবে। আর টাকার পরিমান একটু বেশি দিলে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর সম্বলিত যেকোনো ধরনের সনদ এনে দিতে পারবে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার কাঠামোর নিম্ন স্তর হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। এখান থেকে সাধারণ জনগণ সকল প্রকার নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকে।সাধারণ সেবা প্রত্যাশী ইউনিয়ন পরিষদের সেবার নামে দিনের পর দিন আর্থিক ও মানসিকভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। গরীব এবং সাধারন সেবা প্রত্যাশী মানুষ যারা অর্থভাবে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর সম্বলিত সনদ নিতে না পেরে দিনের পর দিন ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় ঘুরছেন। এমত অবস্থায় সমস্ত লোকদের দিকে তাকিয়ে হলেও অতি দ্রুত সদর ইউনিয়ন এর জন্যএকজন “প্রশাসক” নিয়োগ দিয়ে ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।এখানে টাকার বিনিময় ছাড়া কোনো সেবা মেলে না। কাজ করতে গেলে দিনের পর দিন সময় দিতে হয়, তারপরও অনেক সময় কাজ হয় না। কেউ বেশি টাকা দিলে ২–৩ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর সম্বলিত সনদ পাওয়া যায়।”

গরিব ও সাধারণ মানুষ অর্থাভাবে প্রয়োজনীয় সনদপত্র নিতে পারছেন না। ফলে অনেকেই দিনের পর দিন ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় ঘুরছেন।

স্থানীয়দের দাবি, ইউনিয়নবাসীর ভোগান্তি নিরসনে দ্রুত একজন প্রশাসক (অ্যাডমিনিস্ট্রেটর) নিয়োগ করা প্রয়োজন। এতে করে ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম সচল হবে এবং সাধারণ মানুষ আবারও নাগরিক সেবায় প্রবেশাধিকার পাবেন।#

**

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019